• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

গোমস্তাপুরে ধর্ষন মামলার আসামি আটক হয়নি এখন ও হতাশায় পরিবার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গোমস্তাপুর ইউনিয়নের ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়িতে এই ঘটেছে। পরবর্তীতে শিশুটির মা তাসলেমা বেগম অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম কাটুর বিরুদ্ধে গোমস্তাপুর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। যা গত ১৪ আগষ্ট মামলা হয় মামলা নং ৮/ ৯ তবে ঘটনার এক মাস পার হলেও অভিযুক্তকে আটক করতে পারিনি পুলিশ।
শিশুটির মা ও মামলা বাদি তাসলেমা বেগম বলেন, গত আগষ্ট মাসের ১২ তারিখ তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া শিশু কন্যাকে বাড়িতে রেখে তাঁর নানার বাড়ি নেজু বাজারে বেড়াতে যান। পরদিন গত ১৩ আগষ্ট দিবাগত রাতে তাঁর ভাসুরের ফোন পেয়ে দ্রুত বাড়িতে ফিরে আসেন। এসে ঘটনার বিষয়টি মেয়ের কাছে ও পরিবারের সদস্যদের কাছে শুনেন। তিনি জানান, ওই দিন দুপুরে তাঁদের বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ওই সুযোগে বেগমনগর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে শফিকুল ইসলাম কাটু বাড়িতে ঢুকে তাঁর শিশু কন্যাকে জোর করে ঘরের ভিতরে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করেন। পরে তাঁর মেয়ে ব্যথায় কান্না শুরু করলেও ভয়ে কাটু তাঁকে বাড়ি রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনাটি তাঁর মেয়ে পরিবারের লোকজনকে খুলে বলে। পরবর্তীতে রক্তক্ষরণ দেখে অভিযুক্ত কাটুর বাড়িতে যান তাঁরা। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করা হলে অভিযুক্ত কাটু তাঁকেসহ পরিবারের লোকজনকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়।
এদিকে তাঁর মা চিকিৎসার জন্য মেয়েকে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
তিনি বলেন, একমাস পার হলেও পুলিশ এখনও মেয়ের ধর্ষনকারীকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় হতাশাবোধ করছেন। দ্রুত তাঁকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনজারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা তিনি জানেন না।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার রহনপুর পৌর সম্পাদক ডা. সুলতান আহমদ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই মামলার আসামীকে পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করুক। ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি সহায়তায় চাইলে আমরা সহযোগিতা করব।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোমস্তাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরেফিন বলেন, আসামি ধরতে কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। সে পলাতক রয়েছে। ধষর্ণের আলামত প্রাথমিক তদন্তে পেয়েছেন বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads